বিশেষ প্রতিনিধি: করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় বহুল আলোচিত বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেফতারের সময় তার কাছে গুলিভর্তি পিস্তল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে করে র্যাব।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা ভয়াবহ প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত প্রধান পলাতক আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাবের বিশেষ অভিযানে বুধবার ভোরে ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার কাছে একটি গুলিভর্তি পিস্তল পাওয়া গেছে।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের প্রথমে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৮ জনকে আটকের পর র্যাবের দলটি মিরপুরে রিজেন্টের অন্য শাখায় অভিযান পরিচালনা করে। হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করা হয়।
পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদ করিমকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। সাহেদকে গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত নজরদারিতে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে মৌলভীবাজার সীমান্তেও ছিল কড়া নজরদারি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিজেন্টের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২ নম্বর আসামি তিনি। সাহেদের প্রতারণার অন্যতম সহযোগী এই মাসুদ।
এদিকে রিমান্ডে থাকা আট আসামির সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।