ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচির ওপর ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা মোকাবিলা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পে সঙ্গে এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। খবর বিবিসির।
হোয়াইট হাউজ থেকে ফাউচিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এমনকি ফাউচির নানা মন্তব্য নিয়ে হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা একটি তালিকাও তৈরি করেছেন।
কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা নিয়ে ফাউচির নানা মন্তব্য ও মাস্ক নিয়ে তার অবস্থান পরিবতর্নের দিকে ইঙ্গিত করে তাকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এমন একটি সময়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যখন দেশটিতে সংক্রমণের গ্রাফ কেবল বাড়ছেই। মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, এক লাখ ৩৮ হাজার ২৪৭ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বোচ্চ, ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮৩ জন।
গত কয়েক মাসে দেশটির করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ফাউচি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বাড়ার জন্য বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতি দ্রুত চালু করাকে দুষছেন এই সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ।
তবে হোয়াইট হাউজ দাবি করছে ট্রাম্পের সঙ্গে ফাউচির সুসম্পর্ক রয়েছে। সোমবার ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন যে আমি ফাউচির পরামর্শ শুনি কি-না তাহলে বলব শুনলেও সাবধান হয়ে শুনতে হবে।’
আর সোমবার হোয়াইট হাউসে আইনবিষয়ক এক ইভেন্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ডা. ফাউচির সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। শুরু থেকে দীর্ঘদিন ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমি তাকে চমৎকার মানুষ বলে মনে করি, যদিও আমি সবসময় তার সঙ্গে একমত হই না।’